পরী
জোছনায় আমার চোখে হরিণ দৌড়ায়
সাদা শস্য ক্ষেতে খই উড়ায় নীল পরী
আমাকে ছুলে ও আর উড়তে পারবে না,
নিশানা করে থাকি, যেন কামার্ত হয়রান ব্যাধ
পুনর্জন্মের ফ্যাড়ে পড়ব ভেবে কাছে যাই না
স্পর্শ করি না তোমাকে ভুজঙ্গনা, পরী।
দূরহ জীবন থেকে চেয়ে নেব
এক কাপ চা।
বহুদিন বই ভেবে নিজেকে খোলা হয় নি,
একটু অবসর, একটু মাছ ধরার আশা নিয়ে
ঘুমিয়ে পড়া হয় নি।
শুধু শুধু নোনতা মুখে
ঘুমিয়ে পড়েছি কেবল।
এভাবে চলতে থকলে
ঠিক ঠাক মত মরতেও পারব না।
ঘুমের তবুও আশা থাকে
মৃত্যুর কিছুই থাকে না।
মনের মাছেরা
আলো নিভিয়ে দিলেই ঘুম পাবে না,
তুমি যে রকম ভাবছ,
অন্ধকার সে রকম নয়!
থিতিয়ে পড়া বালির মত,
উপর থেকে
হাজারটা অন্ধকার নেমে এলে,
ক্রমে, খুব ধিরে
ফুটে উঠবে জোছনাভেজা এক পুকুর।
রাত যত বাড়বে,
তত মনের মাছেরা জেগে জেগে উঠবে।
সেসব দেখতে দেখতে
একদা মনে হবে তুমিও একটা মাছ,
মনে হবে পুকুর নয়, অনন্ত এক নদীতে
মাছেদের সাথে মাছ হয়ে
ভেসে ভেসে যাচ্ছ তুমি।
ভাসতে ভাসতে
তুমি নাম ভুলে যাচ্ছ
দেশ ভুলে যাচ্ছ,
ফেরার পথ ভুলে যাচ্ছ!
তুমি চিৎকার করছ,
তুমি বেঁচে আছ
কেউ তোমার চিৎকার শুনতে পাচ্ছে না।
মনে করো
মনে করো সেই বাল্যকাল,
হামাগুড়ি দিয়ে নেমে আসছে
দুপুরের সরিসৃপ,
নিচে ধাবমান ভাঁটবন,
সবুজ টিয়ার কপালে
জুড়ে দিচ্ছ লাল টিপ।
ভেবে নাও, একটু পরেই অন্ধকার,
জোনাকির বুদবুদ
মৌ মৌ করছে চারপাশ।
ধরে নাও যে কোন প্রেম
নিঃসঙ্গ পাতা ঝরার মত
এক বৈজ্ঞানিক আলোচনা।
চমৎকার,
বেশ চমৎকার!
ইউরেকা ইউরেকা বলে
গোপন চিৎকার।
কিংবা হঠাৎ মৃত্যু সংবাদ,
ঘুমের মধ্যে একের পর এক
ভেসে উঠছে লাশ,
আর তুমি স্বর্গ থেকে নরক,
নরক থেকে স্বর্গ-এই করতে করতে
শেষমেশ নরকে চলে যাচ্ছো।
মনে করো কিছুই হয় নি,
তোমার হয়ে অন্য কেউ
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
উড়ে যাচ্ছে আকাশে।
সময় সাক্ষী
সময়কে সাক্ষী করে
দেহ মরে যাচ্ছে।
মরদেহে কদমফুলের মত
মন জেগে জেগে উঠছে।
আপনার এখন মন খারাপের বয়স,
যা দেখবেন, মন হবে
এরা , আমার না।
যা খাবেন, মনে হবে
এই শেষ, আর না।
মধ্যবিত্ত
হয় উপরে উঠে যাও
নয় নিচে নেমে এসো
ঝুলে থেক না।
মাঝখানে যা থাকে
তার নাম দোটানা
শুধু সাঁতার।
কুল থাকে এ পারে
আর ওই পারে।
মনোটোন
শিশির ঝরে পড়ছে
খুব স্মার্ট, ধিরে
মনোরম পায়ে
মাটিতে জড়িয়ে যাওয়া
রমনীর চিকন পাড়ের শাড়ির মত
যেন অলস বৃষ্টির গান।
নিরবে, খুব নিরবে,
ঘুম ঘুম এক শীতার্দ্র পাতা
পোষাক খুলে
নামছে ভেজা হাওয়ায়,
নামছে
যেন অলস
বৃষ্টির গান
বুকে তার এক বুক অভিমান।
অতি ভদ্র লোকেরা অতি অভিনয় করে।
প্রতিশোধ নেবার অনেকগুলো পথ আছে,
সবচেয়ে বোকা পথ হল- হত্যা
বিবর্তন
মিলিয়ন বছর পর
আজ তুমি
একা একা হাঁটতে পারো!!