শুভ জন্মদিন পি সি সরকার জুনিয়র

196

জাদুর আদি উৎস অনেক প্রাচীন। আদি নাম ‘ইন্দ্রজাল’।শব্দটি এসেছে স্বর্গের দেবতা ইন্দ্র থেকে। তিনি অসুর দমনের জন্য মায়ার জাল বিস্তার করতেন। এই মায়াবিদ্যাকেই সেকালে ইন্দ্রজাল, কুহক, সম্মোহন, মোহিনীবিদ্যা, সংবদন, হস্তলাঘব কলা, কার্মণ্য যতু (জাদু) ইত্যাদি বলা হতো। আজ জাদুবিদ্যাকে একটি উচ্চাঙ্গের শিল্পকলা ও জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যমে পরিণত করেছেন যিনি তিনি বিখ্যাত ভারতীয় জাদুকর পি. সি. (প্রতুলচন্দ্র) সরকারের দ্বিতীয় পুত্র পি. সি. (প্রদীপচন্দ্র) সরকার জুনিয়র।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োগ মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যক্তিগত বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী হওয়ার রেকর্ড ধারণ করেন। পি. সি. সরকাররের দল ইন্দ্রজাল, ৪৮ টন সরঞ্জাম, ৭৫ জন শিল্পী, ডজন ডজন সেটিংস, ১২ জন জাদু কন্যা, স্বপ্নময় লেজারের আলো ব্যবস্থা, ৪০০ টি জরির পোশাক, নিজস্ব অর্কেস্ট্রা দ্বারা মূল গান এবং ৫০ টিরও বেশি বিভ্রমের কৌশল ব্যবহার করে। ১৯৫৯ সালে কলকাতার নিউ এম্পায়ারে অডিটোরিয়ামে তিনি তার পিতাকে সহায়তা করার মধ্য দিয়ে মঞ্চে অবতীর্ণ হন। পরে ১৯৬৩ সালে শিলিগুড়ি রেলওয়ে ইনস্টিটিউট হলে, তার প্রথম একক পারফরম্যান্স অনুষ্ঠিত হয়। পি. সি. সরকাররের সেরা ম্যাজিক, বড় আকারের বস্তুগুলি অদৃশ্য করা। যেমন, ৪ নভেম্বর ২০০০ সালে তিনি আগ্রার তাজমহল দুই মিনিটের জন্য “অদৃশ্য” করেন। এছাড়াও, তিনি কলকাতার ৩০০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি অদৃশ্য করেন। এবং ১৯৯২ সালে বর্ধমান জংশনে এক বিশাল জনসাধারণের সামনে যাত্রীপূর্ণ একটি ট্রেন অদৃশ্য করেছেন।

তিনি লন্ডনের ট্রফ্লাগার স্কয়ার থেকে, চোখ বেঁধে উচ্চ গতিতে সাইকেল চালান এবং একটি রেকর্ড তৈরি করেন। ১৯৮৯ সালে পি সি সরকার জুনিয়র-কে নিয়ে ইশার চক্রবর্তী “গিলি গিলি গে” নামক একটি শিশু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। যাতে পি সি সরকার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও, অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন উৎপল দত্ত, সন্তোষ দত্ত, শ্রীলা মজুমদার প্রমুখ। পি সি সরকার জুনিয়র ১৯৪৬ সালের আজেকর দিনে (৩১ জুলাই) বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন।