মেঘ পুষবো
সঞ্জয় আচার্য
একদল মেঘ পুষবো
না, বজ্রগর্ভ নয়, আষাঢ় বা শ্রাবণেরও নয়
ক্ষণে ক্ষণে ভাঙে আর গড়ে যারা
নিজেদের রূপ সেই মেঘ।
জল হওয়া মাটি
এত ঘন ঘন ঋতুর বদল
মানানো যায় না আর।
পোষা মেঘেদের মাঝে ভেঙে চুড়ে টিকে যাবো, তাই
একদল মেঘ পুষবো, মারিচের কৌশলে
ক্ষণে ক্ষণে ভাঙে আর গড়ে যারা
নিজেদের রূপ।
জঙ্গলের দিকে
সঞ্জয় আচার্য
এ জঙ্গলে ছায়াও কেনাবেচা হয়
ঘুমের বড়িতেও ঘুমায় না রাত,
হাইট পেয়েছে যারা উঁচু
সব পাসওয়ার্ড দেখে নেয় জেনে নেয় তারা
সকল ক্ষুধার্ত বাঁ হাত।
গুল্ম আর বিরুৎ তাই কানে কানে বলে–
চলো, দল বদল করি, আরও আরও
গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
ভার
সঞ্জয় আচার্য
কুড়িয়ে কুড়িয়ে জীবন যত
করেছো জড়ো
যাবার আগে তার কিছুমাত্র দিয়ে যেও।
এক পাল্লায় তাদের রেখে
অন্য পাল্লায় মেপে নেব মৃত্যুকে,
দেখে নেব পাশাপাশি
কার চেয়ে কে কতটা ভারী।
এ জীবনে সেটাও তো জেনে যেতে চাই।
ক্রোঞ্চ হতে পারি
সঞ্জয় আচার্য
তবে তো আমিও ক্রোঞ্চ হতে পারি
দন্ডকাল,
অপূর্ণতার স্বাদ নিতে নিতে
যদি ব্যাধ এসে মাপে তো মাপুক
স্থির চোখে ছন্দ ও মিথুনের ডাল।
শুধু একটি আর্ত রবে অদূরের আশ্রম উঠুক জেগে
আর একটি মহাপর্বের গর্ভধানে…
বীজধান
সঞ্জয় আচার্য
মেঘের নরম মাংস বেয়ে নেমে আসুক
মন্থনের শেষাংশ,
ইশারায় উর্বর হয়ে ওঠা পতিত ক্ষেত্র
তারপর নুয়ে পড়ুক হিসাবের ভারে।
কয় মাস এলো আর কয় মাস গেল
কতবার চাঁদ এসে দাঁড়ালো ওধারে,
চারার সুগন্ধি নিয়ে চাষি বউ ভাবে
অথৈ পৌষের মাঠে
সুপক্ব জ্যোৎস্না এসে বসেছে অপেক্ষায়।