মনে পড়ে সেই ‌’শ্রাবন মেঘের দিন’

299

মেহেদী হাসান শান্ত

হুমায়ুন আহমেদের অসাধারন একটা ছবি। ১৯৯৯ সালের এই ছবিটি না দেখে থাকলে আপনি বাংলাদেশি অসাধারন একটা ছবি মিস করবেন।
এই ছবিটি দেখতে বসলে আপনি একটুও বোর হবেন না। এই মুভিটি না দেখলে জানতামই না বারি সিদ্দিকির যে গানগুলো এতকাল শুনেছি সেগুলো এই ছবিরই গান।

পূবালী বাতাশে, আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, মানুষ ধরো মানুষ ভজো, শুয়া চান পাখি এই অসাধারন গানগুলো আসলেই মন ছুয়ে যায়। এত অসাধারনভাবে হুমায়ুন আহমেদ ছবিটির প্রত্যেকটি দিক ফুটিয়ে তুলেছিলেন তা বলে ঝোবাতে পারবো না। জাহিদ হাসান, শাওন সহ সবাই ই অসাধারন অভিনয় করেছেন।

আমার কাছে সবচেয়ে মজা লেগেছিলো যখন যাত্রা পালায় গায়ক মতি (জাহিদ হাসান) জমিদারের নাতির পাশে গিয়ে বসে তখন কুসুমের (শাওন) সে কি জ্বলন। মানে বলে বোঝাতে পারবো না।

আমি কাহিনী নিয়ে কিছু বলতে চাই না। জাষ্ট অসাধারন একটা ছবি। আপনি যদি না দেখে থাকেন তাহলে এখনই দেখে নিতে পারেন। কাহিনী না জেনে দেখতে বসলে আরো বেশি মজা পাবেন। শুধু অপেক্ষায় থাকবেন এরপরে কি হবে, তারপর কি হবে। মানে প্রত্যেকটা মুহুর্তে ভাবতে থাকবেন সামনে কি হতে যাচ্ছে।

আর রেটিং নিয়ে কি বলবো। এরকম একটা মুভিকে আমি রেটিং দিয়ে ছোট করতে পারবো না। রেটিং হিসেবে থাকবে শুধু অনুভূতিগুলো।

অনি/সিনেটিভি