শাহরুখের ভীর জারা : এক অন্যরকম প্রেমকাহিনী

305

প্রশান্ত মণ্ডল

ভালোবাসা আসলে কি! একজন আরেক জনকে কতদিন পযন্ত ভালোবাসা যায়! একটা মানুষ মারা গেছে তাকে পাবো না যেনেও কি সারাটা জীবন মানুষটাকে ভালোবেসে অপেক্ষা করা সম্ভব কারো পক্ষে? যশ চোপড়া পরিচালিত ২০০৪ সালের ‘ভীর জারা’ সিনেমাটি তেমনই।

সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান, প্রীতি জিন্তা ও রাণী মুখার্জী সাথে কিছু গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিরণ খের, দিভ্যা দত্ত ও অনুপম খের এবং দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও হেমা মালিনী। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ, সংগীত পারফরম্যান্স এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সংবেদনশীল চিত্রায়নের প্রশংসাসহ সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সারা পেয়েছিলো সিনেমাটি তখন।

সাথে এটি বিশ্লেষকরা অন্যদের মধ্যে ভাগ করা পাঞ্জাবি সংস্কৃতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা এবং নারীবাদ সম্পর্কিত থিম হিসাবে বর্ণনা করেছিলো। পুরস্কারের দিগ দিয়েও সিনেমাটির সব খানে ছিলো জয়জয়কার তার সাথে বক্স অফিসে ভারত এবং বিদেশ উভয় খানে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ভারতীয় সিনেমা হয়ে উঠেছিলো।

সিনেমার গল্প :
পাকিস্তান সরকার ভারতীয় বন্দীদের সাথে স্বেচ্ছাসেবামূলক ইঙ্গিত হিসাবে সম্পর্কিত অমীমাংসিত মামলাগুলি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কয়েদি নাম্বার ৭৮৬ যে ২২ বছর ধরে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি আর কারো সাথে কথাও বলেনি আজ পযন্ত। সামিয়া সিদ্দিকী একজন উদীয়মান নতুন পাকিস্তানি আইনজীবী উনার কাছে কয়েদি নাম্বার ৭৮৬ মামলা পড়ে। সামিয়া সিদ্দিকী যখন কয়েদি নাম্বার ৭৮৬ মানে ভীর প্রতাব সিং কে নাম ধরে ডাকে তখন সে প্রথম বারের মত কথা বলে আর সে কেন জেল খাটতেছে পাকিস্তানে এত বছর! কি তার কাহিনী? সব কিছু বর্ণনা করতে থাকে সামিয়া সিদ্দিকীর কাছে।

ভীর প্রতাপ সিং ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পাইলট আর জারা হায়াত খান পাকিস্তানের অনেক বড় রাজনীতিবিদের মেয়ে। জারা যাকে নানী বলে ডাকে সে তার শেষ ইচ্ছা হিসাবে জারাকে তার মৃত্যুর পর পূর্বপুরুষের জায়গা সুতলজ নদীতে তার পিন্ডি দিতে বলে। যেখানে তার নানী তার পিন্ডি দিতে বলেছে সেটা হচ্ছে ভারতে আর সেখানে যেতে জারার মা রাজি হয়না এর জন্য জারা পালিয়ে এসে পড়ে। আসার সময় জারার বাসটি দূর্ঘটনার শিকার হয় আর তখন ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট ভীর তাকে উদ্ধার করে সাথে জারার বেবের চূড়ান্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

ভীর জারাকে তার সাথে গ্রামের বাড়িতে একদিনের জন্য আসতে রাজি করায়। জারা ভীরের সাথে গ্রামের বাড়িতে এসে অনেক আনন্দে সময় কাটায়। একসময় ভীর বুঝতে পারে সে জারার প্রেমে পড়ছে।পরের দিন ভীর লাহোরে ফেরার জন্য জারাকে ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যায় আর সাথে পরিকল্পনা করে আসে আজকে যে ভাবে হোক জারাকে তার মনের কথা জানাবেই।

কারন আজকে না জানাতে পারলে হয়তো আর কখনো পারবে না জানাতে! কিন্তু কথায় আছে না অবলা যেদিগে যায় সাগর সেদিগেও সুখিয়ে যায়। ভীরের অবস্থাও তেমন হয় প্রোপস করার আগেই জারার বাগদত্তা এসে হাজির।এগুলোর কিছুই জানতো না ভীর হঠাৎ করে যেনে অনেক কষ্ট পায় সে। আর বলা হয়না সে জারাকে ভালোবাসে। যাই হোক সিনেমার গল্প মাত্র শুরু হলো হার্ট টাচিং অসাধারণ প্রেম কাহিনী এটা। সিনেমার রানটাইম দেখে ভয় লাগতেই পারে কিন্তু দেখতে বসলে সম্পন্ন দেখতেই হবে। এই সিনেমার গান গুলো ছিলো সৃতিমধুর। এক কথায় বলা যায় মাস্টওয়াচ সিনেমা।

অনি/সিনেটিভি