অমিত খান অমি
প্রথমেই বলতে হবে এই সিনেমার কিছু সংলাপের কথা যেগুলো একবারে ভেতরে গিয়ে লাগে।
‘Kam paise mein khush rehna difficult hai… par zyade mein impossible.’ এই লাইনটা আমাদের কঠিন বাস্তবতার দিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
‘Kuch rishton mein logic nahi hota hai… sirf magic hota hey.’
এমন আরও অসংখ্য সংলাপ আছে যেগুলো আপনার ভালো লাগতে বাধ্য। এই সিনেমার চারটি ভিন্ন ভিন্ন গল্প এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। আসলে বাস্তব জীবনে দেখা যায় আমাদের প্রত্যেকের গল্প আলাদা কিন্তু কোন না কোন ভাবে একে অন্যের সাথে জড়িত, ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্লট এক :
প্রথমে আসি আকাশ এবং সানায়াতে। তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসলেও সানায়া তার জীবন সঙ্গী হিসেবে চাই কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ধনীর দুলাল, প্রতিষ্ঠিত কাউকে। ছেলের সাথে বিয়ের মাত্র ৫ দিন আগে আকাশের সাথে অপ্রত্যাশিত কিছু লিক হয়ে যায় ইন্টারনেটে।
প্লট দুই :
রাহুল একটা সেলস দোকানে কাজ করে আর সৃজা একটা হাসপাতালে নার্স। তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, কখনো কখনো শারীরিক লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে। তাদের এই অবস্থা কি পরিবর্তন হবে? অথবা এই দুইটি ভিন্ন চরিত্র কখনো এক হতে পারবে?
প্লট তিন :
বিট্টু একসময় ছিল ক্রাইম দুনিয়ার ত্রাস। কিন্তু একটা মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করে, নিজের স্ত্রী ও সন্তানের জন্য এই পথ ত্যাগ করে সে। কিন্তু কেউ ত্যাগ করতে চাইলেও তো ওই পথ তাকে ছাড়তে চায় না। পুলিশ অ্যারেস্ট করে নিয়ে যায় তাকে এবং ছয় বছরের জেল হয়ে যায়। জেলে থাকা অবস্থাতেই তার স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলে। ছয় বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বিট্টু জানতে পারেন তার সন্তান তাকে বাবা হিসেবে জানে না। এরকম পরিস্থিতি ওর পরিচয় আরেকটি বাচ্চা শিশুর সাথে যার বাবা মা তাকে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না।
প্লট চার :
সেই ছোটবেলা থেকে অলক পিংকিকে ভালোবাসে। কিন্তু মনের কথা বলতে পারে না; পিংকির কোন কিছুতে অলক না বলতে পারে না। এমনকি পিঙ্কিএ বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও অলকের ভালোবাসা কমে না। এরই মাঝে পিংকির স্বামী হত্যা মামলায় জড়িয়ে পড়লে পিংকি সাহায্য চায় অলকের।
এই চারটি ভিন্ন ভিন্ন গল্পকে এক জায়গায় এনেছেন আমাদের সাট্টু ভাইয়া।
বাস্তব জীবনে আমাদের গল্প গুলো প্রতিনিয়ত মোড় নেয়।আমাদের জীবনটা একটা লুডুর ছক্কার মত,কখন কোথায় কি হবে সেটা অনিশ্চিত। চাওয়া আর পাওয়ার হিসাব নিকাশ তো কখনো মেলেনা।
অনি/সিনেটিভি