ফেরদৌস ইসলাম
রাত ১২ টার আগ-মুহুর্ত। ছেলেটা রুমে শুয়ে ‘Law of crimes’ বই পড়ছে। পাশের রুমে বাবা মাকে মারধোর চালাচ্ছে। ছেলেটা সহ্য করতে না পেরে বাবাকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ছেলেটার সারা শরীর রক্তে ভরা। মুখে খুনের কোনো লেশমাত্র নাই। যেনো কিছুই ঘটেনি। ফের পুলিশকে কল দিয়ে আবারো রুমে শুয়ে চিপস খেতে খেতে ‘Law of crimes’ বইটা পড়া শুরু করে।
ব্যাস! রক্ত হিম হয়ে গেলো মুভির শুরুতেই এই সিনটা দেখেই। আপনারো হবে। গল্পটা শুনবেন তাইতো!
আয়নাবাজি মুভিতে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে একজন অপরাধীর মতন নিখুঁত অভিনয় করে একজন সাধারণ মানুষ তার বদলে জেল খাটে। এই মুভির গল্পটা আয়নাবাজির মতনই একটু কাছাকাছি। কিভাবে?
মুভিতে প্রস্থেটিক মেকাপ আর্টিস্ট ভিঞ্চি দা মুভির শুরুর ঔ পাগল ছেলেটাকে বিভিন্ন অপরাধীর মতন চেহারার প্রস্থেটিক মেকাপ বানিয়ে দেয়।আর ছেলেটা ক্রাইম করে ঔ বিচার না হওয়া ঔসব অপরাধীদের ফাঁসিয়ে দেয়।এভাবেই চলতে থাকে মুভির গল্প।
কিন্তু এতে মারা যেতে থাকে নিরপরাধ মানুষরা।ঠিক যেমন বড় কিছু পাওয়ার জন্য বড় কিছু বিসর্জন, মানুষ মারা অস্ত্রের ডিজাইন বানিয়ে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট আর্টিস্ট হওয়ার মতন।
কি ভাবছেন? মুভির পুরা গল্পই শুনে ফেলেছেন? থামেন ভাই, কিছুই শোনেন নাই।আসল মাথাটা খারাপ করবে তো মুভির লাস্টের দুইটা টুইস্ট। এখানেই তো ডিরেক্টর সৃজিত দাদার দাদাগিরি কারিশমা।
মুভিতে ডিরেক্টর সৃজিতের একটা ক্যামিও সিন আছে প্রফেসর চরিত্রে, যেটা মুভির সাথে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে আমার কাছে। তবুও মুভির ডিরেকশনে নিজের জাত চিনিয়েছে বাইশে শ্রাবণ আর চতুষ্কোন মুভির মতন।
রুদ্রনীল, ঋত্বিক, অনির্বাণ সবাই অভিনয়ের দিক থেকে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।পাক্কা ২ ঘন্টা আপনার চোখ আটকে রাখবে তাদের ক্রাইম থ্রিলের জবরদস্তি অভিনয়ের মাত্রা। সাথে এক ভিন্ন মাত্রা সৃষ্টি করবে মুভিটার গানগুলো, যেনো থ্রিলারের বিরিয়ানিতে টক ঝালে টমেটোর সস।
মুভিটা না দেখলেন তো বড় একটা থ্রিলারের গল্প মিস করলেন। কয়েকটা সিনে ১৮+ কথাবার্তা,১৮+ সিন বিদ্যমান। সাবধানে দেখবেন।
অনি/সিনেটিভি