বেঙ্গালোর ডেইস, চার্লির পর দুলকার সালমানের আরেকটি মনে রাখার মতো সিনেমা। ইউনিক গল্প, কমেডি, ইমোশন সবই ছিল, সাথে ছিলো সবার দৃষ্টিনন্দন অভিনয়।
কাহিনী সংক্ষেপ :
মুভিটির শুরু আব্দুল রাজ্জাক ও ফরিদা নামের এক নবদম্পতিকে নিয়ে। সন্তানজন্মের আগেই আব্দুল রাজ্জাক সন্তানের নাম রেখে দেন ‘ফাইজি’, অর্থাৎ তিনি ধরেই নিয়েছিলেন তাদের ছেলে সন্তান হবে।
কিন্তু সন্তান কি ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেটাতো সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।
এখানেও তাই হল, মেয়ে জন্ম নেয় ফরিদার কোলে। একটি ছেলে সন্তানের জন্য একে একে আরো তিন মেয়ের জন্মের পর জন্ম নেয় ফাইজি (দুলকার সালমান)।
কিন্তু এতগুলো সন্তান জন্মের কারণে ফরিদা অসুস্থ হয়ে মারা যান। বোনদের সান্নিধ্যে বড় হতে থাকে ফাইজি। এর মাঝে আব্দুল রাজ্জাক তার পাঁচ সন্তানকে নিয়ে দুবাই পাড়ি জমান ও সেখানে ব্যবসা করে ভালোই অর্থ সম্পদের মালিক হন। এভাবেই বেড়ে উঠতে থাকে ফাইজি।
বোনদের সাথে থাকতে থাকতে তার মাঝে রন্ধনশৈলীর প্রতি একটি আলাদা ভালোলাগা তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু তার বাবা মোটেও ভালভাবে নেয়নি বিষয়টি। তার বাবা স্বপ্ন দেখতেন তাদের একটা ফাইভ স্টার হোটেল হবে, তাই ছেলেকে সুইজারল্যান্ডে পাঠান হোটেল ম্যানেজমেন্টে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য। কিন্তু ফাইজির মাথা থেকে রান্নার ভূত নামেনি। সে ফিরে আসে একজন শেফ/রাঁধুনি হয়ে।
লন্ডনে শেফের চাকুরিও জোগাড় করে তারপর দেশে আসে ফাইজি। কিন্তু পড়া শেষ করে ফিরে এসে দেখে যে তার বাবা তার জন্য পাত্রী (নিথিয়া মেনন) ঠিক করে রেখেছেন। পাত্রীর বাসায় ফাইজি সত্যিটা বলে দিলে পাত্রীপক্ষ বেকে বসে। ছেলের এমন কান্ডে বাবা খুব রেগে যান, ছেলের পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড সব নিয়ে নেন যাতে সে আর বিদেশ যেতে না পারে।
ফাইজি বিষয়টা খুব সহজ ভাবে নিতে পারেনি,সে বাবার সাথে রাগ করে বাসা থেকে পালিয়ে দাদা করিমের ইক্কার (ঠিলাকান) কাছে আশ্রয়ের সন্ধানে আসে। করিম ইক্কা হলেন ওই এলাকার নামকরা একজন রন্ধনশিল্পী যিনি “উস্তাদ হোটেল” নামের একটি হোটেলের মালিক। এই হোটেলের বিরিয়ানি খুবই বিখ্যাত। এমনকি পাশের ফাইভ স্টার হোটেলেও গোপনে উস্তাদ হোটেলের বিরিয়ানি প্রায় দশগুণ দামে বিক্রি হয়। কিন্তু ব্যাংক দেনার দায়ে এদিকে প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় উস্তাদ হোটেলের।
এরপর…
উস্তাদ হোটেল কি বন্ধ হয়ে যায়…?
কিংবা ফাইজির শেফ হওয়ার স্বপ্ন কি পূরণ হয়? সে কি শেষ পর্যন্ত লন্ডন পৌঁছাতে পারে?
বাকিটা জানতে দেখে ফেলুন সিনেমাটি।দুলকার সালমান বেশ ভালো অভিনয় করেছে। মনে হয় ওই ছাড়া অন্য কাউকে এই চরিত্রে মানাতো না।
করিম ইক্কা চরিত্রে ঠিলাকানের অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাকে দেখে গ্রামের বয়স্ক মানুষদের কথা মনে পড়ে যায়।
সিনেমা : Ustad Hotel
অভিনয় : দুলকার সালমান, নিতিয়া মেনন, থিলাকান
পরিচালক : আনোয়ার রাশিদ
ভাষা : মালায়ালাম
রিলিজ ইয়ার : ২০১২
অনি/সিনেটিভি