রাঘব লরেন্স: শূন্য থেকে উঠা আসা এক নক্ষত্র

330

জন্ম হলো দরিদ্র পরিবারে, একটু বড় হতেই ধরা পড়লো ব্রেইন টিউমার। সংগ্রাম শুরু হয়ে গেলো! পড়াশোনাটা আর হয়ে উঠলো না। এক ফাইট মাস্টারের গাড়ি ধোঁয়া মোছার কাজকে পেশা হিসেবে নিলো। ঘটনাক্রমে রজনীকান্তের নজরে আসাটা ছিলো রাঘবের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। রজনী একবার রাঘবের ড্যান্স দেখে মুগ্ধ হলো! তাকে ভর্তি করিয়ে দিলো একটা ড্যান্স একাডেমিতে…. যাই হোক, চেষ্টা ও একটা সময় পর রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলো।

সিনেমার জগতে এলো শুরুতে ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসেবে। ঐ যে এক ঝাঁক লোক নাচে নায়কদের পিছনে বা আশপাশ দিয়ে! তাদের একজন। এরপর মেগাস্টার চিরঞ্জীবি একদিন ডাক দিয়ে তার সিনেমায় ড্যান্স কোরিওগ্রাফার হিসেবে সুযোগ দিলো। ব্যস, এরপর টুকটাক কাজ পেতে থাকে। কোরিওগ্রাফার, পার্শ্ব অভিনেতা… ড্যান্স বেসড একটায় লীড রোলও করলো। যদিও ফ্লপ গেছিলো। এরপর অভিষেক ঘটালো ডিরেক্টর হিসেবে। নাগার্জুনার “Mass”! এটা ছিলো রাঘবের পরিচালনায় ১ম মুভি… নাগার ‘ডন’, প্রভাসের ‘রেবেল’ও তারই কাজ। তবে, তাকে অধিকাংশ লোক চেনার মূল কারণ হচ্ছে #Kanchana সিরিজ! এই সিরিজে সে নিজেই ডিরেক্টর, নিজেই প্রডিউসার, নিজেই নায়ক…

ডিরেক্টর, প্রডিউসার, অভিনেতা, কোরিওগ্রাফার, রাইটার। ওয়ান অফ দ্য বেস্ট ড্যান্সার! মাল্টি ট্যালেন্টেড…। তবে, তার সবচেয়ে ভালো লাগা কাজগুলো অফ স্ক্রিনে। এরকম কাইন্ড হার্টেড লোক বেশ কমই হয়! একটা উদাহরণ দিই জাস্ট… তার একটা ট্রাস্ট আছে। যেটা থেকে ১৬০+ গরীব শিশু ও বৃদ্ধের হার্ট অপারেশন করিয়েছে। এবং এটা চলমান একটা প্রক্রিয়া..।মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট, রাঘবের ইন্টারভিউ ও অন্যান্য।