জলের গায়ে নিঃসঙ্গ পাখিটা

469

রেইনট্রি ফুল

– তারপর, মেয়েটার চোখ নিয়ে আমি লিখলাম ১২৯ নম্বর কবিতা, আমি বুঝি না, মেয়েটা হাসে..

– যেনো, ভর দুপুরে ষোড়শী শরীর ধোয়া পুকুরে সাদা একটা পাতিহাঁস ভাসে, জলের গায়ে নিঃসঙ্গ পাখিটার একটানা ডাক শুনে

আমি লিখি নিঃসঙ্গ বুকের ব্যথা..!

-আমার চোখ জোড়া বৃষ্টি ধোয়া টুপ টাপ ঝরে পড়া গাছের পাতা, তাকিয়ে থাকা চোখে নৃত্য করে দাঁড়িয়ে থাকা রেইনট্রি গাছ, সেখান থেকে একটা ফুল উড়ে এসে মাতাল করা জলের শরীরে ভাসে!

– মেয়েটা হাসে..ভালোবেসে নাকি না বেসে!

শিরোনামহীন- ০২

প্রিয় মানুষটা কত কাছাকাছি এই সময়ে 
ইচ্ছে করলেই দু’চোখ ভরে দেখা যায়।

আর কত সময় গেলে আসবে এমন দিন
ইচ্ছে করলেই তাঁকে ছুঁতে পারবো
বলতে পারবো যা ইচ্ছা তাই, যখনতখন! 

চুপচাপ নিজের দুঃখ পুষে রাখো রবীন্দ্র সংগীত বিকেলে,
এসব সময়ে তুমি আমি কত ভালো থাকি, 
তবুও, তোমার আমার দুঃখের শেষ নাই।

একই অমাবস্যার নিচে জীবন কাটাই
তবুও, আমাদের দুঃখের শেষ নাই..
একই আকাশের মেঘে দু’জন ভিজে
উড়ে আসা বৃষ্টি গান গাই।

প্রিয় মানুষটা কত কাছাকাছি এই সময়ে
ইচ্ছে করলেই নানান নামে ডেকে কথা বলা যায়
অথচ, তোমার আমার দুঃখের শেষ নাই।

ও রাখাল

একদা আকাশের চাঁদে একটা পাখি উড়ে গেল। মানুষ তখন অসভ্য, বিশাল আকৃতির মোটাতাজা কালো আফ্রিকান নিগ্রো মানুষ গরুর মতন হাঁটে বাজারে বন্দরে বিক্রি হতো। ভারতীয় উপমহাদেশে কোন এক জঙ্গলে বাস করতো একদল মৃত্যু মানব। তাঁরা গরু বলি দিয়ে তাজা লাল রক্ত গায়ে মেখে মানুষ খুন করতো। 

রাখাল দেখলো, চাঁদ থেকে উড়ে উড়ে একটা পাখি কয়েকটা গরু খেয়ে ফেললো। এই দৃশ্য দেখে রাখাল আকাশে উড়াল দিলো, তার পরেরদিন ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়, সে জানতো বিশ্ব সাহিত্যে এই খবরটুকু অজানাই থেকে যাবে…

গভীর রাতে

আমার ঘুম আসে না
তুমি ঘুমাইছো কিনা জানি না
কিছু সময় পর পর আকাশ গুড়ুম দেয়
মনে হয় সেসব বুকের ভেতর গুড়ুম নেয়
টিনের চালের বৃষ্টির শব্দ রাত ঝালাপালা 
শব্দ শুনি বুকের ভেতর কচি হাতের বালা।

শূন্য উঠানের কোলে মায়ের হাতে বোনা
নকশীকাঁথা নাকেমুখে জড়িয়ে দিন গোনা..
শেষ হোক জীবনের একা থাকার দিন
ভালোবেসে হাতের রেখা ঢেকে যাক মীন। 





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here