সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
শেখ ফয়সাল আবদুর রশীদ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন হায়দারের লেখক নাম রশীদ হায়দার। খবরটা জেনেই চমকে উঠলাম। তিনি মজা করে নিজেকে বলতেন- ‘আমাদের জীবন্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী’। এই জীবন্ত বুদ্ধিজীবী আর জীবন্ত নেই! চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কি আফসোস, মিরপুরে থাকতেন আমাদের বাসার কাছাকাছি। কাডানায় আসার আগে দেখা হয়েছিলো ২০০৪ সালে। তখন জার্মানি যাবার বাসায় গিয়েছিলাম। এই হায়দার পরিবারের সব ক’টি ভাইয়ের সাথে মধুর সম্পর্ক! তিনি দাউদ হায়দারের জন্য নিমপাতা, চিরতা ইত্যাদি দিবেন বলে! তারপর আর দেখা হয়েছে কিনা মনে পড়ছেনা। তবে ফোনে কথা হতো।
প্রতিবার দেশে যাই। বলেছি- দেখা করবো। করবো-করবো করে আর সময় হয়ে উঠেনা! ক্ষমা করবেন মিতা।
হ্যা, মিতা। তাঁর সার্টিফিকেটে দীর্ঘ নাম, লেখক নাম ছাড়াও ডাক ছিলো- দুলাল। এক বার একটি বই উপহার দিয়ে অটোগ্রাফে লিখে দিয়েছিলেন দুই লাইনের পদ্যঃ
‘দুলাল তো আমারও ডাক নাম-
তাই দুলালকে ভালো বাসলাম’।
কথাশিল্পী রশিদ হায়দার ২/১টা কবিতাও শখ করে লিখেছেন। আমার সম্পাদিত ‘কথাশিল্পীদের কবিতা’ সংকলনের জন্য একটি মুক্তিযুদ্ধের কবিতা দিয়েছিলেন। আজ সেটা স্মরণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।