তানভীর মোকাম্মেলের ডায়েরী

337

আগস্ট ১২, ২০১২
শ্রাবণ ২৮, ১৪১৯
সকালে মফিদুল ভাই ফোন করেছিলেন। বললেন, বাংলা একাডেমীর মোবারক নামে এক ভদ্রলোক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র উপর একটা বিশেষ সংখ্যা বের করছেন। ভদ্রলোক আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। পরে মোবারক সাহেব টেলিফোন করেছিলেন। ওঁদের ওয়ালীউল্লাহ্ সংখ্যাটির জন্যে একটা লেখা দিতে বললেন। যেহেতু আমি ফরমায়েশী লেখা লিখি না, ফলে না করে দিতে হোল। তবে উনি “লালসালু” চিত্রনাট্যটি ছাপতে চাইলে রাজী হয়েছি।
তারেক ও মিশুকের মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ফলক উন্মোচন করা হোল আজ। ভবিষ্যতে হয়তো ওখানে স্মৃতিস্মারক হিসেবে আরো কিছু করা হবে। জায়গাটি হচ্ছে টিএসসি থেকে রোকেয়া হলের দিকে সামান্য এগিয়ে হাতের বামদিকের আইল্যান্ডটি। ছোট হলেও জায়গাটা মন্দ হয়নি। বেশ কিছু গাছ আছে জায়গাটিতে। উপাচার্য্য আরেফীন সিদ্দীকি সাহেব ফলকটা উন্মোচন করলেন। পরে গেলাম পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে। ওখানে তারেক ও মিশুকের স্মরণে স্মরণসভা ছিল। সৈয়দ হক, হামিদা হোসেন এঁরা সব বললেন। আমাকেও কিছু বলতে হোল। কলকাতার মৌসুমী মঞ্চে দাঁড়িয়ে দু’টো গান গাইল।
সন্ধ্যায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটে “জীবনঢুলী” ছবির সহকর্মীদের নিয়ে বসেছিলাম। আজ বেশ কিছু কার্য্যকর বিষয় নিয়ে আলাপ হোল। সম্ভাব্য লোকেশনগুলির ছবি দেখা গেল। কুদ্দুস রাজাকার চরিত্রটির অভিনেতাকে আজ চূড়ান্ত করা হোল। অভিনেতাটির নাম ইকবাল।
আগস্ট ১৩, ২০১২
শ্রাবণ ২৯, ১৪১৯
সকালে “চ্যানেল আই” আমার একটা সাক্ষাৎকার প্রচার করল। তারেক ও মিশুকের স্মরণে। লাইভ অনুষ্ঠান। সাক্ষাৎকারের মাঝে মোর্শেদ, চাষী নজরুল ও সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী টেলিফোনে কথা বললেন। আজকাল টেলিভিশনের লাইভ সাক্ষাৎকারগুলিতে এই ফোন-ইন ধারাটা বেশ প্রচলিত হয়েছে। তারেকের সম্পর্কে আমি বললাম যে কাহিনীচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র চলচ্চিত্রের উভয় আঙ্গিকেই তারেক দক্ষতার ছাপ রেখেছে।
সুশীলবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হোল। উনি আগামীকাল বাংলাদেশে আসছেন। আমাকে অনুরোধ করলেন ভারতে “চিত্রা নদীর পারে”-র একটা ডিভিডি পাঠাতে। কলকাতার মুজিবর রহমান ছবিটার একটা শো করতে চায়। এছাড়া “রাবেয়া”-র একটা ডিভিডি-ও পাঠাতে বললেন।
পরশু নৌকায় যাব ঠিক করেছি। ধলেশ্বরীর চরাঞ্চলটা একটু ঘুরে দেখতে চাই। “জীবনঢুলী”-র শরণার্থীদের হাঁটা ও নৌকার কিছু দৃশ্য ধলেশ্বরী নদীতে ও নদীটার পাশে চরে শুট্ করার ইচ্ছে।