পিতা পেশাজীবন শেষ করে
নিজের বাড়িতে ফিরলেন,
বাড়িতে যখন থাকতেন
তখন হাতলওয়ালা একটা চেয়ার নিয়ে
বারান্দায় বসতেন,
উঠানে কখনো রোদ্দুর তাপাতেন
কখনো গাছের ছায়ায় একাকী বসতেন!
তিনি নেই! কিন্তু হাতলওয়ালা চেয়ারটা
এখনো বারান্দায় পড়ে আছে!
আমি কদাচিৎ যখন বাড়িতে যাই
তখন চেয়ারটা দেখি
আর পিতার কথা মনে করি!
চেয়ারটাতে তেমন কেউ বসে না এখন–
সেটাও পুরনো হয়ে যাচ্ছে!
হয়তো ক’দিন পর–
চেয়ারের হাতল ভেঙে যাবে,
চেয়ারটাও হয়তো বারান্দায় আর থাকবে না!
আমার বাবার ম্মৃতি হয়তো আমার সন্তানেরা
কিছুটা মনে করলেও–
আমার সন্তানের সন্তানেরা আমার বাবার কথা
মনে রাখবে না!
বিস্মৃতির কালো গহ্বরে কালো কাপড়ে
ঢেকে যাবে আমার পিতার মুখ!
রিলেরেসের মতন
এক প্রজন্ম আর এক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাবে,
কারো কারো স্মৃতিরও রিলেরেস হবে
আমার পিতার ম্মৃতির রিলেরেস হবে না!
তিনি তো ছিলেন একেবারে সাধারণ মানুষ
সাধারণ মানুষের স্মৃতির কোনো রিলেরেস হয় না–